পানি বৃদ্ধিতে গাইবান্ধা জেলার অনেক চর ও নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। তলিয়ে গেছে এক হাজারের বেশি হেক্টর কৃষিজমি।
পাশাপাশি নদীতে ভাঙনও চলছে। ফুলছড়ির হাড়ুডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।
“ঘাঘট, করতোয়া, কাটাখালী ও তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নিচে থাকলেও বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।”
স্থানীয়রা জানান, ইতিমধ্যে ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের নিম্নাঞ্চল কাউয়াবাঁধা, পশ্চিম নিশ্চিন্তপুর, চন্দনসার, পশ্চিম খাটিয়ামারী, পূর্ব খাটিয়ামারী, উত্তর খাটিয়ামারী, তিনথোপা, পাগলার চর, বুলবুলি, উত্তর হরিচন্ডি, পশ্চিম ডাকাতির চর, আগলার চর, পশ্চিম জিগাবাড়ী, ধলি পাটাধোয়া, গলনা, ভাজনডাঙ্গা, কালাসোনা, কাবিলপুর, রতনপুর, সাতারকান্দি, পূর্ব কঞ্চিপাড়াসহ ২১ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হানিফ বলেন, তার ইউনিয়নের উজালডাঙ্গা, চৌমহন, কৃষ্ণমনি, বাজেতেলকুপি, মধ্য খাটিয়ামারী ও পূর্ব খাটিয়ামারী এলাকার দুইশ পরিবার নদী ভাঙনে গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
এ দুই চেয়ারম্যান গৃহহীন পরিবারের জন্য আশ্রয় ও খাদ্যের প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান।
এদিকে ফুলছড়ির হাড়ুডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। কাইয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি উঠেছে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুহুল আমীন বলেন, জেলার তিনটি উপজেলার চরাঞ্চলের কিছু জমি পানিতে ডুবে গেছে। এবার সময়মতো বন্যা না হওয়ায় কৃষকরা সেসব জমিতে ধান ও শাকসবজি চাষ করেছিলেন।
তবে পানি দীর্ঘস্থায়ী না হলে ফসলগুলো রক্ষা পাবে। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলেও কৃষকদের হাতে যথেষ্ট চারা থাকায় আবার ধান ও শাকসবজি চাষ সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, বন্যায় মানুষের জানমাল রক্ষাসহ সকল ধরনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
প্রকৌশলী এটিএম মোনায়েম হোসেন বলেন, ভাঙন ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন পদক্ষপে গ্রহণ করা হচ্ছে।