কুষ্টিয়ায় শিশু সাবিয়া হত্যা: ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেরায় নিহত শিশু সাবিয়ার লাশের ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়ার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2018, 05:35 PM
Updated : 16 Sept 2018, 05:35 PM

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার বলেন, “ময়নাতদন্তে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”  

শুক্রবার সন্ধ্যায় অন্য শিশুদের সঙ্গে বাড়ির আঙ্গিনায় খেলার করার এক পর্যায়ে নিখোঁজ হয় সাবিয়া (৬)। পরদিন বাড়ির অদূরে একটি ধানক্ষেতে তার লাশ পাওয়া যায়।

রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত।

এ সময় তিনি বলেন, “শিশু সাবিয়াকে খুবই নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করে এবং পরে হত্যা শেষে লাশ ফেলে যায় পাষণ্ডরা। এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাক না কেন তাদের খুব শিঘ্রই খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।”

মিরপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, শিশু সাবিয়া ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ভাষা আলী মামলা দায়ের করেছেন থানায়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন স্থানীয় রবিউল নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

“আশা করছি খুব শিঘ্রই আমরা দোষীদের খুঁজে বের করতে পারব।”

মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের মিটন খাসিমারা গ্রামের দিনমজুর ভাষা আলী ও ওমান প্রবাসী কাজলী খাতুনের দুই মেয়ে সারিকা (১০) ও সাবিয়া (০৬)। মিটন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির সারিকা এবং প্রথম শ্রেণির ছাত্রী সাবিয়া।

প্রতিদিনের মতো শুক্রবার প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করছিল সাবিয়া। সন্ধ্যায় অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও সাবিয়া না ফেরায় স্বজনরা রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি।

পরদিন সকালে স্থানীয়দের কাছে সংবাদ পেয়ে বাড়ি থেকে একটু দূরে মিটন শ্মশানের কাছে খাসিমারায় একটি ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সাবিয়ার বাবা ভাষা আলী বলেন, “প্রবাসী মায়ের আদর বঞ্চিত দুই মেয়েকে আমি সবসময় চোখে চোখে রাখি। শুক্রবার বিকালে আমি যখন বাজারে যাই তখনও সাবিয়া আমার সাথে কথা বলেছিল। সে বন্ধুদের সাথে খেলা বলেছিল বলে জানায়। তারপর আর কথা হয়নি।”