সিলেট কারাগার থেকে ১৪২ কয়েদির মুক্তি

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিভিন্ন মামলার ১৪২ জন কয়েদি একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছেন; যারা লঘু অপরাধে কারাভোগ করছিলেন।

রোববার রাতে তাদেরকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল।

কারা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

একটি বিশেষ মানবিক উদ্যোগে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগে লঘু অপরাধ করে যারা কারাগারে আছেন, তারা যদি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান ও ভালো পথে চলার অঙ্গীকার করেন, তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। এর প্রথম বাস্তবায়ন ঘটল সিলেটে।

লঘু অপরাধে অভিযুক্ত বিভিন্ন মামলার ১৪২ জন আসামিকে রোববার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত, সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতসহ বিভিন্ন আদালতে হাজির করা হয়। এসব আসামি মেট্রো আইনে, চুরি, ছিনতাই, পতিতাবৃত্তি প্রভৃতি অপরাধে অভিযুক্ত ছিলেন। আদালতে এসব আসামি নিজেদের দোষ স্বীকার করেন। তারা ভবিষ্যতে সঠিক পথে চলার অঙ্গীকার করেন। আদালত মানবিক দিক বিবেচনা করে সকল আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।

কিছু আসামির সাজার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

বিশেষ উদ্যোগের বাস্তবায়ন হিসেবে এসব কয়েদির মুক্তি পাওয়ার আগে সিলেট কারাগার পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রসচিব (সুরক্ষা ও সেবা) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, “এই ১৪২ আসামি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করলে আদালত তাদেরকে জামিন দেন। অনেকে মামলা থেকেও অব্যাহতি পেয়েছেন। দেশে এই প্রথম কোন কারাগারের এতজন আসামি একসাথে জামিন লাভ করলেন।”

কারাগারে অতিরিক্ত বন্দির চাপ কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

আগামীতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।