কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বেলেডাঙ্গা বাজারে শনিবার রাত সোয়া ৯টায় তাকে হত্যা করা হয়।
কালিগঞ্জ থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইউনিয়ন যুবলীগ অফিসের সামনে তাকে এলাকাবাসী পিটিয়ে হত্যা করেছে।”
নিহত আব্দুল জলিল গাইন (৪৩) ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং শংকরপুরের হাবিবুল্লাহ গাইনের ছেলে। তিনি শ্রমিক লীগের নেতা ছিলেন।
গত শনিবার রাতে বেলেডাঙ্গা বাজারে কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফকে কুপিয়ে ও গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
চেয়ারম্যান মোশাররফ হত্যাকাণ্ডের পর জলিল গাইন আত্মগোপন করেছিলেন। শুক্রবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়াচালা এলাকার সরকার মার্কেট থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওসি বলেন, “তাকে কালিগঞ্জ থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য কৃষ্ণনগর বাজারে ইউনিয়ন যুবলীগ অফিসের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়।
“পুলিশ ভ্যান থেকে তাকে নামানোর সাথে সাথে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী জলিলকে ছিনিয়ে নেয়। পরে জনতা পিটুনি দিয়ে তাকে হত্যা করে।”
ঘটনার পর জলিল গাইনের বাড়ি গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘরে তালা দেওয়া রয়েছে। তার পরিবারের সব সদস্য পালিয়ে আছেন বলে জানান প্রতিবেশীরা।
জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফকে হত্যার পর তার মেয়ে সাফিয়া পারভীন বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি জলিল গাইনকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০ জনকে আসামি করা হয়।
জলিল গাইন জাতীয় পার্টি, বিএনপি হয়ে কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেন বলে স্থানীয়রা জানায়।