গোবিন্দগঞ্জে গাছ বিক্রি ৪৪২টি, কর্তনে ‘দেড় হাজার’

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সামাজিক বনায়নের ৪৪২টি গাছ কাটার অনুমতি নিয়ে দেড় হাজার গাছ কাটা শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তাজুল ইসলাম রেজা গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2018, 03:47 PM
Updated : 15 Sept 2018, 03:47 PM

উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর বাজার ও তেলিয়া গ্রামে এ কাজের সঙ্গে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, সামাজিক বনায়নের আওতায় প্রায় ১৬/১৭ বছর আগে উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর বাজার থেকে তেলিয়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে ইউকেলিপটাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়। সম্প্রতি ওই সড়কের ৪৪২টি গাছ কাটার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে দরপত্র করা হয়। কিন্তু সুযোগ বুঝে এই সড়কের আরও এক হাজারের বেশি গাছ কাটা শুরু করেছে সংশ্লিষ্টা।

গাছগুলোর ক্রেতা শাহিন মিয়া ও রকি মিয়া নামের স্থানীয় দুই কাঠ ব্যবসায়ী বলেন, তালুককানুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ও সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের সভাপতি সবুজ মিয়ার সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে এ গাছগুলো ক্রয় করা হয়েছে।     

ওই এলাকার হারুন নামের এক ব্যক্তি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি ফোন করে জানানো হয়েছে; কিন্তু তিনি এখনও কোনো পদক্ষেপে নেননি।

সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের সভাপতি জহুরুল ইসলাম সবুজ বলেন, “৪৪২টি গাছ টেন্ডার করা হয়েছে। বাকি গাছগুলো টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করা হয়েছে। সেখানে এক হাজার ২০০ গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪২টি গাছ ২৬ লাখ টাকা বিক্রি করা হয়েছে। গোপন করার কিছু নেই।”

তালুককানুপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক বলেন, “আমি একটু বাইরে আছি। এ বিষয়ে আপনাদের সাথে পরে কথা হবে।”

গোবিন্দগঞ্জ বনকর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “এ বিষয়ে আমার কোনো কিছু জানা নেই।”

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “আমি গত মাসে এই উপজেলায় যোগদান করেছি। অভিযোগ পেয়ে চেয়ারম্যানকে বলেছি কাগজপত্র দেখাতে। তিনি গাছকাটার বিষয়ে রেজুলেশন দেখিয়েছেন।

“কিন্তু কর্তনের অনুমতিপ্রাপ্ত গাছের সংখ্যা নিয়ে গরমিল রয়েছে। তাই বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে সেখানে যদি কোনো অনিয়ম থাকে, তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

প্রতিনিধি/ডিডি/২১৪০ ঘ.