গাইবান্ধায় নদীর পানি বাড়ছে

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারি বর্ষণে গাইবান্ধার ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2018, 03:13 PM
Updated : 15 Sept 2018, 03:13 PM

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘটের পানি ১৬ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের সাত সেন্টিমিটার, তিস্তার ১০ সেন্টিমিটার এবং করতোয়ার পানি ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, পানি বৃদ্ধি পেলেও নদ-নদীগুলো বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি জানান, ব্রহ্মপুত্র ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার, ঘাঘট গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৪০ সেন্টিমিটার, তিস্তা সুন্দরগঞ্জের গোয়ালের ঘাট পয়েন্টে ১৩৪ সেন্টিমিটার এবং করতোয়া গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে ১৯৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

“আগামী ৭২ ঘণ্টায় পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে মাঝারি ধরনের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।”

এদিকে পানি বৃদ্ধিতে তিস্তা, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্রের চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হানিফ প্রামাণিক বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধিতে তার ইউনিয়নে চৌমোহন, বুলবুলির চর, পূর্ব খাটিয়ামাড়ি, মধ্য খাটিয়ামাড়ি, উজানডাঙ্গাসহ ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

“এতে অন্তত দেড়শতাধিক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে। সেই সাথে নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন উজানডাঙ্গা গ্রামের অন্তত ৫০টি পরিবার।”

উজানডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিক নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে বলেও জানান এই চেয়ারম্যান।

তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চণ্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, পানি বেড়ে যাওয়ায় তার ইউনিয়নে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পানিবন্দি পরিবারদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।