মান্দা থানার ওসি মাহবুব আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈদ্যপুর বাজারের অদূরে গোড়রা এলাকায় কারখানাটির সন্ধান পায় পুলিশ।
আটক আরিফ হোসেন (৪৮) খুলনার খানজাহান আলী উপজেলার শিরোমনি উত্তরপাড়ার শওকত হোসেনের ছেলে। এখানে তিনি স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভাড়া বাড়িতে কারখানা বানিয়ে কারবার চালাতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শনিবার সকালে কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, তিনটি ভবনে জিংক সার তৈরির উপকরণ, মিক্সার মেশিন, স্তূপ করা মাটিসহ অসংখ্য মাটিভর্তি বস্তা, বালুভর্তি বস্তা ও মোটা দানার বালুর স্তূপ রয়েছে।
কৃষি অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, “কারখানাটির কার্যক্রম দেখে বিস্মিত ও হতবাক হয়ে গেছি। এটা কৃষকের সঙ্গে চরম প্রতারণা। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি হওয়া দরকার।”
জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয়রা বলেন, কারখানাটির সামনে প্রায়ই ট্রাকভর্তি করে বালু ও মাটি নিয়ে আসা হত। এগুলো দিয়ে কারখানার ভেতরে কী কাজ করা হত সেটি তারা জানতেন না।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইসলাম বলেন, আন্টু ও আজিজুলের তিনটি বাড়ি মাসিক ২ লাখ ২৫ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে আরিফ ও তার স্থানীয় অংশীদাররা কার্যক্রম চালু করেন। মাসিক বেতনে ৩৫ জন কর্মচারী সেখানে নিয়মিত কাজে নিযুক্ত ছিলেন।
“এলাকার কতিপয় ব্যক্তির ছত্রচ্ছায়ায় কারখানটিতে নকল সার ও কীটনাশক উৎপাদনসহ বাজারজাত করে আসছিল চক্রটি।”