শুক্রবার শেরপুরের নকলায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি ঈদ বোনাস ছাড়াও বাংলা নববর্ষ, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে বোনাস দেওয়া হবে।
“পার্লামেন্টে পাস হয়েছে। বাজেটে বরাদ্দ থাকবে। এ বছর থেকেই বিজয় দিবস উপলক্ষে তারা পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন। আর ২০১৯ সাল থেকে স্বাধীনতা দিবস ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দুই হাজার টাকা করে পাবেন।”
চলতি অর্থবছর থেকে বাজেটে এসব ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “সরকারে যেই থাকুক, এ বোনাস দিতে হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত হয়েছে, উৎসব বোনাস চালু হয়েছে। এটা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অব্যাহত থাকবে।”
এসব ভাতা দিতে নতুন করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারিরও দরকার নেই বলে জানান মোজাম্মেল হক।
এছাড়া প্রত্যেক অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য ১৫-১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সব চিকিৎসার ব্যয়ভার ইতোমধ্যেই সরকার গ্রহণ করেছে।
মন্ত্রী এ সময় ভোট চেয়ে বলেন, “জনগণ দেশের মালিক। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দিন।”
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল মুনসুর, শেরপুর জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল ইসলাম হিরো, নকলা উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম, নকলা পৌরমেয়র হাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে ছিলেন।