বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডিত কামরুল ইসলাম (২৫) টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ভুটিয়া গ্রামের সাবাশ আলীর ছেলে।
দণ্ডিতকে এক লাখ টাকা জরিমানাও দিতে হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম নাছিমুল আক্তার বলেন, ২০১৪ সালের ১৯ মে বিকালে ভুটিয়া গ্রামের আবুল কালামের আট বছরের মেয়ে বীথি আক্তার স্থানীয় আকড়াচুনা খেলার মাঠে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলছিল।
“এ সময় কামরুল শিশুটিকে লিচু খাওয়ানোর কথা বলে পাশের একটি আনারস বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং পরে হত্যা করে ফেলে যায়।”
নাছিমুল বলেন, শিশুটির সহপাঠীদের বক্তব্যের সূত্র ধরে পরদিন পুলিশ কামরুলকে আটক করে। পরে কামরুলের দেওয়া তথ্য মতে পুলিশ ওই আনারস বাগান থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ২০ মে নিহতের বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে কামরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বলে নাছিমুল জানান।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নাছিমুল আক্তার নাছিম। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক।