গ্রেপ্তার রশিদুল ইসলাম (৩৮) সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ইউনিয়নের ভাসানীপাড়া মহল্লার নজরুল ইসলামের ছেলে তিনি।
গ্রেপ্তার অন্যজন হলেন তার সহযোগী লোকালপাড়া মহল্লার হাবিল মামুদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪২)।
সদর থানার এসআই হারিছুল ইসলাম হারিছ বলেন, মোসাম্মৎ লিমা আক্তার (২২) নামে এক তরুণী মোবাইল ফোনে অনেক মানুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেন।
“পরে লিমা ওই ব্যক্তিকে ডেকে আনেন। তারপর রশিদুল তার লোকজন নিয়ে লিমার সঙ্গে ওই ব্যক্তির আপত্তিকর ছবি তুলে তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন।”
সর্বশেষ গত ৭ সেপ্টেম্বর সুবোধচন্দ্র বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি ওই ফাঁদে পড়ার পর টাকা না দিয়ে থানায় মামলা করেন।
এসআই হারিছুল বলেন, মামলার পর পুলিশ বুধবার রাতে সংগলশী গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
“তারা সুবোধের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছিল। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে বেধড়ক মারধর করে তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।”
মামলায় লিমা আক্তারকে প্রধান আসামি করার পাশাপাশি পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান এসআই হারিছুল।
থানার পরির্দশক (তদন্ত) এরশাদুল আলম বলেন, “আসামিদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা প্রতারণার কথা স্বীকার করেন। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভিডিও, ছবি ও নন-জুড়িসীয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে।”
মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।