মাগুরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন তার নবম শ্রেণির ছাত্র জায়েদ বিন জামান ও পরিবার।
জায়েদকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন জায়েদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বুধবার সকালে ওই শিক্ষকের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আমি তোতলালে তিনি আমাকে মারধর করেন।
“আমি মার থেকে বাঁচার জন্য সারের পা জড়িয়ে ধরলেও তিনি আরও মারতে মারতে বলেন, ‘আমি কখন হাসি, কখন রাগি, তা ওপরওয়ালাও জানে না’।”
অসুস্থতাজনিত কারণে জায়েদ কথা বলার সময় মাঝেমধ্যে তোতলায় বলে জানিয়েছেন তার বাবা মাগুরা শহরের আদর্শপাড়ার বাসিন্দা মুন্সী কায়েমুজ্জামান।
তিনি অভিযোগ করেন, “জায়েদ টিস্যুজনিত দুর্বলতায় ভুগছে। তাকে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি দিতে হয়।
“এ কারণে আমি লিখিত দরখাস্তের মাধ্যমে স্কুলকে জানিয়ে রেখেছি, কোনো কারণেই তাকে যেন কোনো প্রকার কষ্ট না দেওয়া হয়। তবু তাকে নির্দয়ভাবে মারধর করা হয়। জায়েদ এ কথা আমাদের কাছে গোপন রাখে। কিন্তু রাতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি।”
তিনি এ ঘটনার বিচার চেয়ে জেলা পশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, “জায়েদের কথাবার্তা আমার কাছে ব্যঙ্গাত্মক মনে হয়েছিল। এ কারণে তাকে শাসন করেছি।”
ঘটনা তদন্তে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান।