মো. মোশারফ হোসেন নামের ওই ডিলার মহেশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এর আগেও তার বিরুদ্ধে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।
মহেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়নের বাথানডাঙ্গা বাজারে মোশারফের বিক্রি করা চালে ওজনে গরমিল থাকায় কার্ডধারীদের বাড়তি চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি।
অভিযোগকারীদের একজন ডহর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা লায়েক শেখ বলেন, এ কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও মোশারফ ‘ওজনে কারচুপি’ করে ২৭ কেজি করে চাল দেন।
আরেক অভিযোগকারী তাসুদ শেখ বলেন, চালের ডিলার মোশারফ হোসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় ‘প্রভাব খাটিয়ে’ ওজনে কম দিচ্ছিলেন। ২৭ কেজি করে চাল দিলেও ৩০ কেজির টাকা আদায় করছিলেন।
চাল বিতরণে অনিয়মের খবর পেয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন এবং মহেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল মেপে দেখেন। এ সময় ৮/১০ জন কার্ডধারীদের চাল মেপে ২/৩ কেজি করে চাল কম পাওয়া যায়।
চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল মেপে ২৭ কেজি বা তার একটু বেশি পেয়েছি। পরে কার্ডধারীদের ঘাটতি চাল দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহেশপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ডিলার মোশারফ বলেন, “চাল মাপার কাটা ও বাটখারায় একটু সমস্যা থাকায় চাল কম হয়েছে। পরে সেটা ঠিক করে সঠিকভাবে পরিমাপ করে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।”
কাশিয়ানীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, “চাল বিতরণে অনিয়মের কারণে এর আগে একবার মোশারফ হোসেনের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু উপরের অনুরোধে এ বছর ফের তাকে ডিলার করা হয়।”