ফরিদপুরের বিশেষ জজ মতিয়ার রহমান মঙ্গলবার আট বছর আগের এক মামলার এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া আদালত তাকে ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ২৪ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা না দিলে তাকে আরও সাড়ে সাত মাস বিনাশ্রম কারাগারে থাকতে হবে।
সাজাপ্রাপ্ত মো. ইমাম উদ্দিন (৪৫) রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন।
আদালত একই সঙ্গে এ কাজে সহায়তা করার জন্য ইমাম উদ্দিনের স্ত্রী শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারী কমলা আক্তারকে (৩৮) আট বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা না দিলে তাকে আরও দেড় মাস বিনাশ্রম কারাগারে থাকতে হবে।
কমলাও রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন।
দুদকের আইনজীবী মজিবর রহমান মামলার নথির বরাতে বলেন, ২০১০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ২৬ মে পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের পেশকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জিএম শাখার মো. ইমাম উদ্দিন।
“ভ্রাম্যমাণ আদালতের অর্থদণ্ড বাবদ প্রাপ্ত ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ২৪ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে কমলার সহায়তায় আত্মসাৎ করেন ইমাম উদ্দিন। এ বিষয়ে ২০১৫ সালের ১৮ জুন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম জিনিয়া জিন্নাত বাদী হয়ে পালং থানায় সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন।”
পরে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক হাফিজুর ইসলাম এ অভিযোগটি তদন্ত করে ইমাম উদ্দিন ও কমলা আক্তারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় বলে তিনি জানান।