কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াসিন আলী জানান, নিহত কে এম মোশাররফ হোসেনের মেয়ে সাফিয়া পারভিন রোববার রাতে কালিগঞ্জ থানায় মামলটি দায়ের করেন।
পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি মোজাফফর হোসেন ও লাল্টুকে গ্রেপ্তার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, মামলায় ১ নং আসামি করা হয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল গাইনকে। সব আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শনিবার রাত ১১টার দিকে কৃষ্ণনগর বাজারে তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যান বাজারে যুবলীগ অফিসে বসে ছিলেন। এ সময় কয়েকজন যুবক তিনটি মোটরসাইকেলে করে এসে ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
পরে চেয়ারম্যানের গালে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে খুনি। তারপর তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
পুলিশ কর্মকর্তা ইয়াসিন বলেন, “পুলিশ ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, স্থানীয় সাপখালী খাল নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে অনেকের বিরোধ রয়েছে।
“বেদখল খালটি চেয়ারম্যান মুক্ত করতে চাচ্ছিলেন। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবদুল জলিলের সঙ্গেও চরম বিরোধ চলছিল চেয়ারম্যানের। সম্প্রতি জলিল বেশ কয়েকজন লোক নিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেন।”
তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি জানান।