শনিবার ওই কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ পাঁচ জনকে আটক করেছে।
এ ঘটনার জন্য ‘অটেবাইক কল্যাণ সোসাইটি’ ও ‘অটোবাইক কল্যাণ ফেডারেশন’ পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টপাল্টি চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছে।
ডোমার অটোবাইক কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম বলেন, অটোবাইক থেকে জোরপূর্বক ১০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করেছিলেন অটোবাইক কল্যাণ ফেডারেশনের সদস্যরা।
“ছয় মাস পূর্বে সেটি আমি বন্ধ করাই। এরপর তারা কয়েকদিন ধরে আবার সদস্যপদ নবায়নের নামে দুইশ করে টাকা আদায় করছেন। এর প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে আমরা অটোবাইক ধর্মঘটের ডাক দেই।”
শান্তিপূর্ণ ধর্মঘট চলাকালে অটোবাইক কল্যাণ ফেডারেশনের লোকজন এসে পৌর আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে বলে দাবি ময়নুলের।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে অটোবাইক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ করেন ময়নুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
আমিনুল বলেন, “আমি ঢাকায় আছি। সেখানে আমাদের লোকজন কোন চাঁদা তুলছেন না, বরং তারাই বিএনপি, ছাত্রদলের লোকজন দিয়ে চাঁদা তুলছেন। চাঁদা না দিলে অটোবাইক চালকদের মারধর করছেন।
“আমরা সেটির প্রতিবাদ করলে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম নিজেই উপস্থিত থেকে পৌর আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে অন্যের উপর দোষ চাপাচ্ছেন।”
ডোমার থানার ওসি মোকচ্ছেদ আলী বলেন, “ধর্মঘটের কথা জানি না। ওই দুই সংগঠনের মধ্যে উত্তেজনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা পাঁচ জনকে আটক করেছি।”
আটকরা হলেন পৌর এলাকার পূর্ব চিকনমাটি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে লোকমান হোসেন লাভলু (৩৯), আফছার আলীর ছেলে মোজাফ্ফর হোসেন (২২), সামির উদ্দিনের ছেলে রশিদুল ইসলাম (৩২), পশ্চিম চিকনমাটির ওয়াতাজ আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩২) এবং ছোটরাউতা গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে আলী হোসেন (৩২)।