বাগেরহাটে হত্যার দায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

বাগেরহাটে এক নছিমন চালককে হত্যার দায়ে চারজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Sept 2018, 12:26 PM
Updated : 6 Sept 2018, 12:26 PM

বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার পাঁচ বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

আদালত এই চারজনকে কুড়ি হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছে। জরিমানা না দিলে তাদের আরও নয় মাস কারাগারে থাকতে হবে।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ খানপুর গ্রামের মোহম্মদ আলীর ছেলে মিজান (৩০), একই উপজেলার ভট্ট বালিয়াঘাটা গ্রামের আব্দুল ফকিরের ছেলে মো. সোহাগ ফকির (২৯), একই গ্রামের আবাসন কেন্দ্রের গোলাম মোস্তফা ওরফে খান সাহেবের ছেলে ইব্রাহিম মোল্লা (২৮) ও জুনু ওরফে ইসমাইল মোল্লা (৩৫)।

রায় ঘোষণার সময় সোহাগ ও ইব্রাহিম আদালতে ছিলেন। অন্যরা পলাতক রয়েছেন।

এছাড়া মো. জয়নাল আবেদিন নামে অন্য একজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে তাদের আরও তিন মাস করে কারাগারে থাকতে হবে।

জয়নাল আবেদিনের বাড়ি খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা গ্রামে।

নিহত মো. মামুন মোল্লা (২০) বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ মোল্লার ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জাহিদ হোসেন মামলার নথির বরাতে বলেন, ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর নছিমন চালক মামুনকে (২০) পিটিয়ে ও শ্বাসসরোধ করে হত্যার পর তার নছিমন নিয়ে পালিয়ে যায়।

“ঘটনার প্রায় ছয় মাস পর নিহতের বাবা আব্দুল্লাহ জানতে পারেন, খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা গ্রামের জয়নাল আবেদিন চার যুবকের কাছ থেকে মামুনের নছিমনটি কিনেছেন। তিনি ওই চারজনকে শনাক্ত করে তাদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।”

পুলিশ সোহাগ ও ইব্রাহিমকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। তারা হত্যার দায় স্বীকার করেন। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক আমির হোসেন পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

আইনজীবী জাহিদ বলেন, আদালত ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চারজনকে প্রাণদণ্ড ও একজনকে দুই বছরের এই দণ্ড দিয়েছে।