জেলার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূইয়া বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সকালে উপজেলার মির্জাপুর এলাকা থেকে ওই পাঁচজনকে তারা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেন।
তিনি বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে তারা নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।”
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- পুরাতন জেএমবির রংপুর বিভাগের সামরিক শাখার প্রধান শহিদুল্লাহ ওরফে মাসুম ওরফে গোপাল ওরফে ইয়ামিন ওরফে নাদিদ (৪৬), রাজশাহী বিভাগের সামরিক শাখার প্রধান বুলবুল ওরফে সোহাগ (৩২), সামরিক শাখার সদস্য মাসুদ রানা (৩১), নওমুসলিম আতিকুর রহমান ওরফে সৈকত ওরফে সামিত (৩৩) এবং মিজানুর রহমান ওরফে দর্জি মিজান (৩৫) । রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায় তাদের বাড়ি।
“সেই খবরের ভিত্তিতে সকালে শেরপুর উপজেলার মির্জাপুরে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, দশ রাউন্ড গুলি, তিনটি বার্মিজ চাকু এবং একজোড়া হাতকড়া পাওয়া যায়।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মতিহার থানার ‘রহমান জুট মিল’ থেকে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুটের মামলায় ওই পাঁচজনই আসামি। এছাড়া বুলবুল, মাসুদ, আতিকুর ও মিজানের বিুরদ্ধে রাজশাহীর মতিহার থানায় ডাকাতির মামলাও রয়েছে।