ফুলবাড়িয়া থানার ওসি শেখ কবিরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার নাওগাঁও গ্রামে ওমর ফারুক পলাশ নামে এক কিশোর এবং পাশের হাতিলেইট গ্রামে আরিফা খাতুন নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়।
পলাশ ওই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। আর আরিফা প্রবাসী নূরুল ইসলামের মেয়ে।
দুইজনই স্থানীয় পলাশীহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পলাশ পাস করলেও আরিফা পাস করতে পারেননি।
ওসি কবিরুল বলেন, মঙ্গলবার ভোরে ঘরের ধর্ণার সঙ্গে রশির ফাঁসিতে ঝুলন্ত পলাশের লাশ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। এরপর বেলা ১১টার দিকে গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া আরিফার লাশ মেলে।
“আরিফা একটি চিরকুটে লিখেছে, ‘পলাশ, বাঁচলেও একসাথে মরলেও একসাথে।’ তাদের এ সম্পর্কতে পরিবারের আপত্তি ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। প্রেমের সম্পর্কে বাধা-বিপত্তির কারণে তারা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।”
পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে দেখছে জানিয়ে তিনি বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। অন্যান্য বিষয়ও খতিয়ে দেখা হবে।