নিহত সুমন পাহাড় (২৩) শরীয়তপুর পৌরসভার উত্তর বালুচড়া গ্রামের মৃত এসকান পাহাড়ের ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক চোরাচালান, চাঁদাবাজিসহ ১১টি মামলা রয়েছে বলে পালং মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামানের ভাষ্য।
তিনি বলছেন, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার পালং ইউনিয়নের ছয়গাঁও সড়কের পাশে শুকুর তালুকদারের মেহগনি বাগানে মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির সময় সুমন নিহত হন।
অন্যদিকে নিহিত সুমনের স্ত্রী বৃষ্টির অভিযোগ, গত ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ির কাছের এক দোকান থেকে তার স্বামীকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল একদল লোক। এরপর অনেক খোঁজাখুজি করেও সুমনের সন্ধান পাচ্ছিলেন না তারা।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে পালং থানার ওসি বলেন, শুকুর তালুকদারের মেহগনি বাগানে মাদকের ভাগ-বাটোয়ারা চলার খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আজাহার আলীর নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ ও পালং মডেল থানা পুলিশ সেখানে যৌথ অভিযান চালায়।
“পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। ১৫ মিনিট গোলাগুলির পর মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।”
স্থানীয়রা পরে নিহত ব্যক্তিকে এলাকার ‘চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী’ সুমন পাহাড় হিসেবে শনাক্ত করেন বলে ওসির ভাষ্য।
তিনি বলছেন, এ অভিযানে সামসুজ্জামান ও জিয়াউর রহমান নামে দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। নিহত সুমনের প্যান্টের পকেট থেকে ৫১টি ইয়াবা এবং ঘটনাস্থল থেকে এক কেজি গাঁজা, ছয়টি ককটেল এবং একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে সুমনের স্ত্রী বৃষ্টি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, “গত ১ তারিখ সন্ধ্যার সময় ওকে ধরে নিয়ে গেল। এতদিন খোঁজাখুজি করে পাইনি। আজকে সকালে শুনলাম বন্দুকযুদ্ধে নাকি মারা গেছে।”
সুমন দুই বছর বয়সী একটা মেয়ে রেখে গেছে জানিয়ে বৃষ্টি বলেন, “সুমনের জান যে নিছে সেও সুমনের জান ফেরত দিতে পারবে না। তবে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করি, সুমনের ময়নাতদন্ত যেন না করা হয়।”