নাটোরে দুর্ঘটনায় ১৫ মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

নাটোরের লালপুরে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনার জন্য লেগুনার চালকের অসতর্কতা ও বেপরোয়া গতিসহ কয়েকটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2018, 06:22 PM
Updated : 3 Sept 2018, 06:22 PM

সোমবার এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় জেলা প্রশাসকের কাছে। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনা রোধে ১২ দফা সুপারিশও তুলে ধরা হয়।

দুর্ঘটনার পর জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

তদন্ত কমিটির প্রধান নাটোর জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইদুজ্জামান দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ২৫ অগাস্ট বিকালে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে নাটোরের লালপুর উপজেলার ক্লিক মোড়ে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হওয়ার জন্য লেগুনার চালকের অসতর্কতা, বাসের ফিটনেস না থাকা ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঘটনার সময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় লেগুনাটি একটি ট্রাকের পেছনে থেকে পাবনার দিকে যাচ্ছিল। ঘটনার সময় লেগুনার চালক অসতর্ক হয়ে ওই ট্রাককে ওভারটেকিং করছিল। হটাৎ যাত্রীবাহী বাসটি বিপরীত দিক থেকে এসে লেগুনাটিকে ধাক্কা দেয়।

“বাসের ফিটনেস না থাকায় চালক বাসটি যথাযথভাবে থামাতে পারেনি। ফলে বাসের আঘাতে লেগুনাটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং লেগুনার ১৫ যাত্রী নিহত হয়।”

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির সদস্যরা সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সাদিয়া ফিলিং স্টেশনের দুই কর্মীর সাথে কথা বলেছেন। বাসের দুই যাত্রী সাক্ষ্য দিয়েছেন। প্রতিবেদনে তারা দুর্ঘটনা রোধে ১২ দফা সুপারিশ করেছেন।

এরমধ্যে রয়েছে, মহাসড়কের পাশে ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য পৃথক ফিডার সড়ক নির্মাণ, উপযুক্ত চালক দিয়ে গাড়ি চালানো, গাড়ির ফিটনেস বজায় রাখা ও বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন বলেন, সকালে তিনি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার যেসব কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে সে ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য একটা কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।