শেরপুরের ক্ষিতীন্দ্র সাঁতরে যাবেন নেত্রকোণা

রেকর্ড গড়ার আশায় শেরপুরের মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্রচন্দ্র বৈশ্য জেলার নালিতাবাড়ী শহর থেকে সাঁতার শুরু করেছেন।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2018, 12:09 PM
Updated : 3 Sept 2018, 12:48 PM

তিনি নেত্রকোণার মদন উপজেলার দেওয়ানবাজার পর্যন্ত সাঁতার কাটবেন জানিয়ে বলেন, “নদীপথে এই দূরত্ব ১৮৬ কিলোমিটার।”

গুগল ম্যাপে সবড়কপথে এই দূরত্ব ধোবাউড়া উপজেলা হয়ে ১১২ কিলোমিটার; আর ময়মনসিংহ হয়ে ১২৭ কিলোমিটার। তবে নদীতে বহু জায়গায় বহু বাঁক রয়েছে।

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন, “সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য তার সঙ্গে তিনটি ইঞ্জিনচালিত বড় নৌকা, একটি বড় ডিঙি ও একটি স্পিডবোড নিয়ে থাকছেন চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় লোকজন। আছে তরলজাতীয় খাবার ও সঙ্গীতসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা।”

সোমবার সকাল ৭টায় নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর পৌরঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেন ৬৭ বছর বয়সী মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের এই সাঁতারু।

এ সময় নদীর দুই পার ও সেতুর ওপর বিপুলসংখ্যক উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়।

ক্ষিতীন্দ্র বলেন, নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদী হয়ে হালুয়াঘাটের কংস নদী পাড়ি দিয়ে নেত্রকোণার মগড়া নদীর দেওয়ান বাজার পর্যন্ত পৌছাতে তার সময় লাগবে ৬০ ঘণ্টা।

সাঁতার কেটে তিনি বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।

“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে গণভবনে আমাকে রূপার নৌকা উপহার দেন। পরের বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পুকুরে ১০৮ ঘণ্টা ৫ মিনিট সাঁতরে নিজের পুরনো রেকর্ড ভেঙে ফেলি। তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জগন্নাথ হলের পুকুরপাড়ে একটি স্মারক ফলক নির্মাণ করে,” ক্ষিতীন্দ্র বলেন।

সিলেটে ১৯৭০ সালে ধুপাদিঘি পুকুরে কুমার নন্দী নামে এক তরুণের ৩০ ঘণ্টার বিরতিহীন সাঁতার দেখে উদ্বুদ্ধ হন বলে জানান ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র।

তিনি বলেন, সাঁতার অনুশীলন শুরুর পর ওই বছরই মদনের জাহাঙ্গীরপুর উন্নয়ন কেন্দ্রের পুকুরে টানা ১৫ ঘণ্টা সাঁতার কাটলে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে।

“এরপর ১৯৭২ সালে সিলেটের রামকৃষ্ণ মিশন পুকুরে ৩৪ ঘণ্টা, সুনামগঞ্জের সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুরে ৪৩ ঘণ্টা, ১৯৭৩ সালে ছাতক উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুরে ৬০ ঘণ্টা, সিলেটের এমসি কলেজের পুকুরে ৮২ ঘণ্টা এবং ১৯৭৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পুকুরে ৯৩ ঘণ্টা ১১ মিনিট সাঁতার দেখিয়ৈ জাতীয় রেকর্ড গড়ে ফেলি।”