ডোমার থানার পরিদর্শক ইব্রাহীম খলিল বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হরিণচড়া ইউনিয়নের ধরণীগঞ্জ হাটে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত নাজমুল হক (৩০) ওই ইউনিয়নের শেওটগাড়ি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি পেশায় রিকশাভ্যান চালক।
অসুস্থ একই গ্রামের শ্রমিক মোহাম্মদ আলী (৩৮), আশরাফ আলী (৩৮), ফরহাদ হোসেন (৪০), আব্দুল কাদের (৪২) ও জয়ন্ত রায়কে (৪২) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হরিণচড়া ইউনিয়ন পরিষদের ছয় নম্বর ওর্য়াড সদস্য মনিরুজ্জামান বলেন, হরিহরা গ্রামের আবতাব উদ্দিনের ছেলে ধরনীগঞ্জ হাটের চা বিক্রেতা ও গ্রাম্য কবিরাজ সাইফুল ইসলাম শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকানে গাছগাছালি দিয়ে যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরি করে খাওয়ান তাদের। এর এক ঘণ্টা পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তিনি জানান, পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী তাদের ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
“নাজমুল হক ও জয়ন্তু কুমার রায়কে রাত ১টার দিকে রংপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানন্তর করা হয়। রংপুর মেডিকেলে নেওয়ার পথে নাজমুল হকের মৃত্যু হয়।”
জয়ন্ত কুমার রায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে নাজমুলের মৃত্যু হওয়ার পর থেকেই কবিরাজ সাইফুল পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরিদর্শক ইব্রাহীম খলিল জানান, নাজমুলের লাশ রাতেই উদ্ধার করা হয়েছে; ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার সকালে জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের বাবা আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে ডোমার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।