রোববার ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নের এসআরজি বাজার এলাকায় তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৪০) উপজেলার গন্ডগোহালী গ্রামের রজব আলীর ছেলে।
তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার অটোরিকশা ভ্যান ছিনতাই করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুঠিয়া থানার এসআই বজলুর রহমান বলেন, জাহাঙ্গীর আলম শনিবার বিকালে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে আর ফেরেননি।
“সকালে স্থানীয় লোকজন এসআরজি বাজারের পাশে কলাবাগানে লাশ দেখে পুলিশে খরব দেয়।”
এসআই বজলুর বলেন, জাহাঙ্গীরের পরনের লুঙ্গি ছিঁড়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার ভ্যান ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী শিরিনা বেগম বলেন, “আমাদের দুটি মেয়েসহ চারজনের সংসার। জানা মতে আমার স্বামীর সঙ্গে কারোর কোনো শত্রুতা ছিল না। সে এক বেলা মানুষের জমিতে কাজ করত। আর দুটি মেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভ্যান চালাত।”
তিনি বলেন, প্রতিদিনের মতো তিনি শনিবার বিকালে খাওয়া-দাওয়া শেষে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। অনেক রাত পর্যন্ত বাড়িতে না ফিরলে তার নম্বরে অনেকবার ফোন দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।
পুঠিয়া থানার ওসি সাকিল উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শুধু ভ্যান ছিনতাইয়ের জন্য হত্যাকাণ্ড নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।