আহত আক্তারুজামান জামাল ফকিরের বাড়ি উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের পাচক গ্রামে। তিনি নড়িয়া উপজেলায় যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের ইমান খোলা বাজারের মোড়ে হামলার শিকার হন জামাল।
নড়িয়া থানার ওসি আসলাম উদ্দিন জানান, আহত জামালের ভতিজা নিপুণ ফকির হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে একটি মামলা করেছেন।
ভোজেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ শিকদারের দুই ছেলে নয়ন শিকদার ও মুরাদ শিকদারসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০/১২ জনকে সেখানে আসামি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জামাল সাংবাদিকদের বলেন, রাতে বিঝারী ইউনিয়নের নয়গাঁও গ্রামের দিলু শেখের বাড়ির একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে ইউসুফ চৌকিদারকে নিয়ে মোটর সাইকেলে করে বন্ধু জানে আলম চৌকিদারের বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি।
“পথে আলী আহমদ শিকদারের ছেলে নয়ন শিকদার ও মুরাদ শিকদারসহ ১০/১২ জন আমাদের গতিরোধ করে। পরে তারা ইউসুফকে আটকে রেখে লোহার রড ও হাতুরি দিয়ে আমাকে পিটিয়ে পালিয়ে যায়।”
জামালের ভতিজা নিপুণ বলেন, হামলাকারীরা তার চাচার পকেট থেকে ৬০ হাজার টাকা, কাগজপত্র ও তিনটি এটিএম কার্ড নিয়ে গেছে।
‘পূর্ব শত্রুতার জেরে’ এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে নিপুণ অভিযোগ করলেও, কী নিয়ে এই শত্রুতা- তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নয়ন ও মুরাদ শিকদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি।
তাদের বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আলী আহমেদ বলেন, “রাতে বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে কে বা কারা জামালকে মেরেছে তা আমরা জানি না। আমাদের হয়রানি করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।”
ওসি আসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে দেখছে। অভিযোগের বিষয়ে প্রমাণ পেলে আইনাগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।