গোপালগঞ্জে বিষমুক্ত ফসলের জন্য পার্চিং পদ্ধতি

কীটনাশক না দিয়ে কীট-পতঙ্গ প্রতিরোধের উপায় হিসেবে জমিতে পাখির উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য পার্চিং পদ্ধতি বিস্তারের উদ্যোগ নিয়েছে গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।

মনোজ সাহা গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2018, 07:22 AM
Updated : 30 August 2018, 07:22 AM

এ পদ্ধতিতে জমিতে ডাল পুঁতে দেওয়া হয় যেখানে পাখি বসতে পারে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক সমীর কুমার গোস্বামী বলেন, পার্চিং পদ্ধতি বিস্তারের জন্য বুধবার সদর উপজেলায় পার্চিং উৎসব করেছে কৃষি বিভাগ।

“একটি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়নের সব আমন ক্ষেতে একযোগে ডাল পুঁতে দেওয়া হয়েছে।”

কৃষি বিভাগের ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কিংকর চন্দ্র দাস, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হরলাল মধু উৎসবে ছিলেন।

গত মৌসুমে বিষ ছাড়াই ফসল উৎপাদন করতে পেরেছেন বলে অনেক কৃষক জানিয়েছেন।

মানিকদহ গ্রামের কৃষক হীরালাল বলেন, “গত বছর আমার একটুও বিষয় কিনতে হয়নি। খরচ বেঁচে গেছে।”

গোবরা গ্রামের কৃষক জাবের আলী চৌধুরীও একই কথা বলেন।

“এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে আমরা বোরো মৌসুমে সুফল পেয়েছি। ধানে পোকা লাগেনি। কীটনাশক কিনতে হয়নি। বিষমুক্ত ধান উৎপাদন করতে পেরেছি। আবার বাড়তি খরচ হয়নি।”

তবে ওই গ্রামের কৃষক আকরাম গাজী বলছেন, তার আংশিক খরচ হয়েছিল।

“মৌসুমের শেষের দিকে পোকা লাগে। তখন কিছু কীটনাশক কিনতে হয়েছিল।”

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, “নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পার্চিং পদ্ধতিতে কৃষকের ক্ষেতে পোকার আক্রমণ হয় না। এ কারণে কৃষককে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। কৃষক বিষমুক্ত নিরাপদ ধান উৎপাদন করে লাভবান হন।”

সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার শেখ বলেন, “ক্ষেতে গাছের ডাল পুঁতে দিলে সেখানে পাখি বসে। পাখি পোকাদের ধরে ধরে খেয়ে ফেলে। এতে পোকামাকড় বংশবিস্তার করতে পারে না। ফলে ক্ষেত পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়। পোকামাকড় দমনে কৃষককে বাড়তি ব্যয় করতে হয় না।”