মাগুরা শহরতলীর পুলিশলাইন পাড়ার জাহিদুর রহমানে ছেলে আল আহাদ (১৩) দুরারোগ্য এই রোগে আক্রান্ত বলে চিকিৎসকরা জানান।
নানা শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত শিশুটিকে তার মা মঙ্গলবার মাগুরা সদর হাসাপালের সার্জারি বিভাগে নিয়ে আসেন।
আহাদের মা আসমা সুলতানা বলেন, তার দুটি সন্তানের মধ্যে আল অহাদ বড়। জন্মের সময় তার চেহারা ও শারীরিক গড়ন অস্বাভাবিক ছিল। পরে মাগুরা ও ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করালেও সে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি।
এখন তার পায়ের সমস্যার জন্য মাগুরা সরকারি হাসপাতালে সার্জারি চিকিৎসক সফিউর রহমানের কাছে এসেছেন বলে জানান সুলতানা।
“তবে তার চেহারা ও শারীরিক গঠন দেখে নিশ্চিত যে সে বিরল প্রজেরিয়া রোগে আক্রান্ত।”
ডা. শফিউর রহমান বলেন, একই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞও তার সাথে একমত পোষণ করেছেন।
শিশু আহাদ সবকিছু বুঝতে পারে ও কথা বলতে পারে। তার সঙ্গে আলাপকালে সে চাপা কণ্ঠে তার নাম ও বাবার নাম এবং কোনো স্কুলে পড়ে বলে জানায়।
সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দেবাশিষ বিশ্বাস বলেন, আল আহাদ জটিল প্রজেরিয়া রোগে আক্রান্ত। জিনগত সমস্যার কারণে শিশুরা বিরল এ রোগের অক্রান্ত হয়; যে রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। এ রোগে আক্রান্তরা দ্রুত বার্ধক্যর দিকে ধাবিত হয়। প্রজেরিয়া রোগে আক্রান্তদের আয়ু স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ থেকে ৮ গুণ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তাই তারা ১৫ থেকে ২০ বছর জীবিত থাকে।
এর আগে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামের লাবলু সিকদারের ছেলে বায়েজিদ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।