ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটা বহাল রাখার দাবি

কোটা সংস্কার আন্দোলন ও কোটা রাখা না রাখার নানা আলোচনার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একটি সংগঠন তাদের কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2018, 12:48 PM
Updated : 29 August 2018, 12:48 PM

এ দাবিতে বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চের সামনে মানববন্ধন, সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত; এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উত্তরবঙ্গের আদিবাসী, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, নৃগোষ্ঠী নিঃসন্দেহে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। প্রচলিত থাকা কোটা পদ্ধতি বিলুপ্ত হলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক ও বিরূপ প্রভাব পড়বে। অনুরূপভাবে চাকরিতে কোটা পদ্ধতির অনুপস্থিতিতে আদিবাসীরা দেশপ্রেম, মেধা ও মনন বিকাশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।

জাতিসত্ত্বা, ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যে বৈচিত্রহীনতা রাষ্ট্রের সৌন্দর্যকে একমুখী করে তুলবে বলে তারা মনে করেন।

আদিবাসীদের কোটা বহাল রেখে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম সভাপতি হিংগু মুরমু, সাধারণ সম্পাদক প্রভাত টুডু, আদিবাসী নেতা শ্যাম টুডু, কর্নোলিউশ মুরমু, যতিন হেমরম, বিশ্বনাথ মাহার্তো, মিনা মুরমু প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে কমিয়ে আনার দাবিতে কয়েক মাস আগে জোরাল আন্দোলন গড়ে তোলে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’, যা ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে।

আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল সংসদে বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতিই আর রাখা হবে না।

তবে পরে সংসদে তিনি বলেন, কোটা পদ্ধতি থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ রাখতে হাই কোর্টের রায় আছে।