ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বিরাহীমপুর গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে মঙ্গলবার রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত রুমানা বেগম (২২) ওই গ্রামের আঙ্গুর মিয়ার স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের তরফ সাদুল্যা গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে।
ঘটনার পর থেকে আঙ্গুর মিয়াসহ তার পরিবারের লোকজন ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, তিন বছর আগে রুমানার সঙ্গে বিরাহীমপুর গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে আঙ্গুর মিয়ার বিয়ে হয়।
স্বজনদের বরাত দিয়ে সাদুল্লাপুর পরিদর্শক (তদন্ত) এমরানুল কবীর বলেন, বিয়ের সময় আঙ্গুরকে যৌতুক হিসেবে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া আঙ্গুরকে ঘরের আসবাবপত্র এবং কিছুদিন আগে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাও কিনে দেওয়া হয়।
“কিন্তু আঙ্গুর আরও যৌতুকের টাকা দাবি করেন। এনিয়ে আঙ্গুর মিয়া প্রায়ই তার স্ত্রীকে মারধর করতেন।”
পরিদর্শক এমরানুল বলেন, মঙ্গলবার বিকালে আঙ্গুর মিয়া স্ত্রীকে বেদমভাবে মারধর করেন এবং এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বাড়ির উঠানে রেখে পালিয়ে যান।
“পরে ঘটনাটি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে আঙ্গুর ও তার পরিবারের লোকজন রুমানা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার চালান বলে স্বজনদের ভাষ্য।”
পরিদর্শক এমরানুল আরও বলেন, নিহতের গলা ও শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে মারধরের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবু মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।