করিমপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে সোমবার রাতে সংঘর্ষ হয়; মঙ্গলবার সকালে আসকর আলীর (৬০) লাশ পাওয়া যায়।
আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের নাম জানা যায়নি।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় যুবলীগ নেতা মমিন মিয়া ও প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে সোমবার রাতে। ওই সময় মমিন মিয়ার সমর্থক আসকর আলী মাথায় আঘাত পান এবং এরপর থেকে নিখোঁজ থাকেন।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সকালে রসুলপুর ঈদগাহ্ মাঠে আসকর আলীর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, “সোমবার রাতে একদল লোক আমাদের বাড়িতে হামলা চালালে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। তাদের এলোপাথাড়ি লাঠির আঘাতে আমার ভাই আসকর আলীসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়।
“আহত আসকর আলীকে রাতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে রসুলপুর ঈদগাহ্ মাঠে তার লাশ পাওয়া যায়।”
ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, আসকর আলীল মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুপক্ষ আবার মুখোমুখি অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহরিয়ার আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গেলে লোকজন পালিয়ে যায়।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।