ঈদের ছুটিতে যমুনাপাড়ে

সমুদ্র থেকে অনেক দূরে হলেও বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের মানুষ সমুদ্র সৈকতের স্বাদ পেতে ছুটে আসেন মেঘাই, বানিয়াজান, কালিতলাসহ যমুনাপাড়ের কয়েকটি এলাকায়।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2018, 12:59 PM
Updated : 26 August 2018, 05:24 AM

ঈদসহ নানা সামজিক উৎসবে যমুনার তীর সংলগ্ন বগুড়ার ধুনট উপজেলার বানিয়াজান, শহড়াবাড়ী, সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর, কালিতলা, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর ঊপজেলার মেঘাই এলাকায় মানুষ বেড়াতে আসেন।

এলাকার মানুষ যারা বাইরে থাকেন তারাও ছুটির দিনে বাড়ি এসে স্বজনদের নিয়ে ঘুরতে আসেন এখানে।

যমুনাপাড়ে নদী সংরক্ষণে সিমেন্টের ব্লক দিয়ে বেঁধে দেওয়ায় পরিবার- পরিজন নিয়ে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করে কাটিয়ে দেওয়া যায়।  

কেউ নিজের গাড়ি, কেউবা ভাড়া করা সিএনজি অটোরিকশা কিংবা মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন।

এই বিনোদনকে সামনে রেখে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হন এই যমুনা পাড়ে।

বাদাম, আইসক্রিম, ঝালমুড়ি, শরবতসহ নানা পণ্য বিক্রি হয়। নৌকা ভ্রমণেরও ব্যবস্থা রয়েছে ঘণ্টা হিসেবে ভাড়ায়।

মেঘাই এলাকায় সমুদ্র সৈকতের মতো বসার জায়গাসহ ছাতা দেওয়া হয়েছে।

ঈদে রায়গঞ্জ উপজেলার যুবক আতিক এসেছেন নববিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে। বিয়ে করেছেন দুমাস আগে। চাকরি করেন দিনাজপুরে। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে মেঘাই যমুনা পাড়ে এসেছেন।

শুক্রবার বিকালে আতিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখানে অনেকটা সুমদ্রের স্বাদ পাওয়া যায়।”

বানিয়াজান এলাকায় কথা হয় বগুড়ার কাহালু উপজেলার থেকে আসা আব্দুল হাদীর সঙ্গে।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতি ঈদেই তিনি স্ত্রী, ছেলে, বউ, নাতি- নাতনিদের নিয়ে বেড়াতে আসেন। নদীর তীরে বসে শীতল হাওয়া খেতে ভালো লাগে।

কালিতলায় দেখা হয় সুফল নামের এক যুবকের সঙ্গে। বগুড়া শহরে চাকরি করেন তিনি।

“যমুনার পাড়ে বিকেলটা যেন অন্যরকম লাগে। তাই, একটু বিনোদনের জন্য ছুটে এসেছি এখানে,” বলেন তিনি।