কিছুটা তো ধীরগতি হবেই: আইজিপি

ঈদযাত্রায় লাখ লাখ লোক রাস্তায় নামার কারণে গাড়ি কিছুটা ধীরগতিতে চলবে বলেই মনে করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2018, 02:30 PM
Updated : 21 August 2018, 02:30 PM

মঙ্গলবার বিকালে মহাসড়কের পরিস্থিতি দেখতে এসে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা মোড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে একসঙ্গে লক্ষ লক্ষ লোক রাস্তায় নেমে আসবে, একসাথে অনেকগুলো গাড়ি রাস্তায় আসবে; এতে কিছুটা তো গাড়ি ধীরগতিসম্পন্ন হবেই। রাস্তায় যানবাহনের গতি কিছুটা মন্থর ছিল বটে, তবে কোথাও কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়নি।

“তবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। বিশেষ করে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া ঘাটের ওই পাড়ে প্রচণ্ড ভিড়ে এবং ফেরিতে গাড়ি লোড-আনলোডের কারণে ৩০-৪০ মিনিট সময় লেগে গেছে।

“সেজন্য কিছুটি দীর্ঘ সারি এপারে ওপারে হয়ে গেছে। এটাতে আমাদের করণীয় কিছু ছিল না। প্রকৃতির কাছে আমরা অসহায়।”

ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে গ্রামের বাড়ি যাওয়া, পশুবাহী যানবাহন রাজধানীতে পৌঁছানো এবং ঈদের মার্কেটের সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকটি পশুর মার্কেটের নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঠিকভাবে দিয়েছে, বলেন আইজিপি।

আইজিপি বলেন, সাধারণ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। এ সময় পুলিশের আইজি, ডিআইজি সকল অফিসাররা রাস্তায় রয়েছেন। তারা সবাই সকাল থেকে সারারাত জেগে রাস্তায় কাজ করছেন। জনগণ যেন নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন সেজন্য তারা কাজ করছেন।

এজন্য তিনি সকল পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।

আইজিপি বলেন, “ঈদের সময় প্রায় কোটি লোক ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যায়। তারা যেন নিরাপদে যেতে পারে এ বিষয়টি মনিটরিং করা একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল। একই সাথে এতগুলো গার্মেন্টস ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। তারাও নিরাপদে নির্বিঘ্নে যেতে পেরেছে।”

ঢাকা থেকে গাজীপুর পর্যন্ত কোথাও কোনো যানজট নেই কোনো রকমের প্রতিবন্ধকতা নেই উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, “মাত্র ২০-২৫ মিনিটে ঢাকার মিন্টু রোড থেকে গাজীপুর পর্যন্ত এসেছি। ঈদের পরেও ঘরমুখী মানুষ আবার তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসবে। তাদের নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে আমাদের এই সকল অফিসাররা কাজ করছেন, তাদের কারো ঈদ নেই, কারো ছুটি নেই। সবকিছু ফেলে রেখে জনগণের জন্য আমরা এ সার্ভিসটা দিয়ে যাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেনম “পুরো অগাস্ট শোকাবহ মাস। আমরা ১৫ অগাস্ট ও ২১ অগাস্ট দুটি শোকাবহ দিন পালন করেছি। আমরা মনে করিনি কোনো ধরনের থ্রেট আছে। আমরা প্রত্যেকটি থ্রেট, কী ধরনের হতে পারে, সম্ভাব্য প্রত্যেকটি থ্রেটকে গণনায় নিয়ে সেটাকে মাথায় রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। সে জন্যই খুব নির্বিঘ্নে ১৫ অগাস্টের প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান এবং ২১ অগাস্টের প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”

এ সময় আইজিপির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি আসাদুজ্জামান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ, গোলাম সবুর, পরিবহন নেতা সুলতান আহমেদ সরকার প্রমুখ।