ঈদের আগের দিন মঙ্গলবার বিকালে এই বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার পর সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে থেকে পরিস্থি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।”
উত্তরের গাড়িগুলো বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে ঢাকামুখী লেইনে ঢুকে পড়ায় এই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি সৈয়দ শহীদ আলম বলেন, “উত্তরের গাড়িগুলো বেপরোয়াভাবে সেতু পার হয়ে ঢাকামুখী লেইনে ঢুকে পড়ে জট লেগে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থা সচরাচর ঘটে না।
“দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ঘণ্টা তিনেক এই অচলাবস্থা থাকে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে পুলিশ। ঈদের আগের দিন বিকালে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।”
আর পশ্চিম পারের এই বিশঙ্খলার প্রভাব পড়ে পূর্বপারে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সহ-সম্পাদক হুসাইন আহমদ ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাওয়ার পথে যানজটে আটকা পড়েন।
তিনি বিকাল পৌনে ৫টায় বলেন, “টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় আমাদের পুরো দুই ঘণ্টা ধরে আটকা পড়ে থাকতে হয়েছে।”
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি এম এ রাজ্জাক জানান, সোমবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে উত্তরে যোগাযোগের এই মহাসড়ক মোটামুটি ফাঁকা থাকলেও ঈদের আগের দিন বিকালে সেই চিরচেনা রূপে ফিরে গেছে। অসংখ্য যানবাহনের তীব্র চাপে বিভিন্ন জায়গায় মাঝেমধ্যেই জট লাগছে।
তবে যানজট নিরসনে জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৩২ হাজার ৪৩২টি যানবাহন পার হয়েছে, যা গত ঈদের চেয়ে এক হাজার ৯২৫টি বেশি। এই চাপে মহাসড়কে যান চলাচলে মাঝেমধ্যে বিঘ্ন ঘটছে।
এছাড়া কয়েকটি গাড়ি বিকল হওয়ার কথা উল্লেখ করে টাঙ্গাইলের কালিহাতি সার্কেলের জ্যেষ্ঠ এএসপি মো. মাসুদুর রহমান মুনির বলেন, রাত দেড়টার দিকে সেতুর ১৭ ও ৩০ নম্বর পিলারের কাছে দুই জাগায় গাড়ির ধাক্কা লাগে। এতে জট লাগে। ছোট-বড় কয়েকটি গাড়ি বিকল হওয়ার কারণেও কিছুটা জট দেখা দেয়। এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা।