মঙ্গলবার সকালে বোর্ডবাজার, ভোগড়া বাইপাস মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে চড়তে দেখা গেছে।
চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় বাস না পেয়ে পিকআপে করে রওনা হন শেরপুরের আবুবকর সিদ্দিক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, কয়েক দিন আগেই স্ত্রী সন্তানদের গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
“এখন আমি বাস না পেয়ে পিকআপে উঠছি। বাসে যেখানে দুইশ-আড়াইশ টাকায় যাওয়া যায় এখন সেখানে পাঁচশ টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে। তার পরও মনে শান্তি পাচ্ছি যে বাড়ি যেতে পারছি।”
চন্দ্রা ত্রিমোড়, পূবাইলের মীরের বাজার চৌরাস্তা, টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায়ও বহু মানুষকে ট্রাকে ও পিকআপে করে যাত্রা করতে দেখা গেছে। তবে সড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও জট নেই।
“যাত্রীর তুলনায় পরিবহন কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। এজন্য যাত্রীরা পিকআপ ও ট্রাকে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন।”
মালেকের বাড়ি, বড়বাড়ি, কুনিয়া এলাকায় গাড়ির ‘কিছুটা’ চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ট্রাফিক বিভাগের জ্যেষ্ঠ এএসপি সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়া মহাসড়কের অন্য এলাকায় যানবাহন বছরের অন্য সময়ের চেয়ে স্বাভাবিক বলে তিনি জানান।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে জৈনাবাজার, গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি এলাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে যানবাহনের চাপ লক্ষ করা গেছে। তবে যাত্রীদের তুলনায় বাস-সংকট রয়েছে।
তবে দুপুরে গাড়ির চাপ থাকবে না বলে আশা করছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ।
তিনি বলেন, “যাত্রীদের অধিকাংশই গন্তব্যে চলে গেছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। সকালে গাজীপুরের কয়েকটি জায়গায় গাড়ির চাপ দেখা গেলেও বিকালে এই চাপ থাকবে না আশা করছি।”