বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘাটে পাঁচ শতাধিক গাড়িকে পার হওয়ার অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
“সকাল থেকে মোটরসাইকেল ও যাত্রীদের চাপে একটা ফেরিতে একটা-দুইটার বেশি গাড়ি তুলতে পারছি না। ফেরি ভরে যাচ্ছে মোটরসাইকেল ও যাত্রীতে। ফলে ঘাটে গাড়ির লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।”
নাব্য সংকটের কারণে প্রায় এক সপ্তাহ এখানে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সেই থেকে লোকজন এখন শিমুলিয়া পর্যন্ত এক বাসে আসে। পরে পদ্মা পার হয়ে ওপার থেকে আরেক বাস ধরে। এই যাত্রীরা লঞ্চ বা স্পিডবোটে পার হয়ে থাকে।
“কিন্তু সকাল থেকে পদ্মা উত্তাল। প্রচণ্ড বাতাসের ভয়ে সবাই ফেরির দিকে ছুটছেন। এদিকে গাড়িওয়ালারা ক্ষেপে যাচ্ছেন।”
এখন এখানে ১৬টি ছোট ফেরি চালানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ফেরিগুলো চলছে ওয়ানওয়েতে। এ কারণে সময় বেশি লাগছে। এখানে ৮৭টি লঞ্চ ও প্রায় ৪০০ স্পিডবোট চলাচল করে। প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে সেই চাপ এখন ফেরির ওপর। যাত্রীদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। দুপুরের পর যাত্রীর চাপ কমে গেলে গাড়িগুলো পার করা যাবে বলে আশা করছি।”