সোমবার দেবীগঞ্জ থানায় হাসানুর রহমান মিলনের (২০) মৃত্যু হয়। মিলন দেবীগঞ্জ পৌর শহরের থানাপাড়া মহল্লার হবিবর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী দেবীগঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে।
মিলনের বাবা হবিবর রহমান ও মা হাসিনা বলেন, বড় ছেলে হাসিবুলের শ্যালিকার সঙ্গে মিলনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এটা হাসিবুল মানতে পারছিল না। এ নিয়ে রোববার গভীর রাতে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলছিল। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে গভীর রাতে তারা থানায় ফোন করে পুলিশের হাতে মিলনকে তুলে দেন।
হবিবর রহমান বলেন, “মিলনকে সুস্থ ও ভালো অবস্থায় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তাকে মেরে ফেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে রাখে।”
মিলনের বড় বোন বিউটি বলেন, সোমবার সকালে থানা থেকে মিলনের জন্য কাপড় এবং খাবার নিয়ে আসার জন্য মাকে ফোন করা হয়। তিনি ছোটবোন বীথিকে সঙ্গে নিয়ে থানা হাজতে গেলে মিলনকে না পেয়ে পুলিশকে জানান।
“এ সময় এক পুলিশ সদস্য দূর থেকে হাজতের বাথরুমে গলায় কম্বল পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখিয়ে বলেন-মিলন আত্মহত্যা করেছে।”
পরিবারের সদস্যরা জানান, মিলন ঢাকায় রাজ মিস্ত্রীর কাজ করতেন। কয়েক দিন আগে ঈদের ছুটি কাটাতে বাড়ি আসেন।
মিলনের মামা সাদেকুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ লুকিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় পাঠায়। সুরতহাল রিপোর্টের সময়ও আমাদের কাউকে রাখেনি। এর আগে আমাদের লাশও দেখায়নি। এটা পুলিশের ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়। পুলিশই তাকে মেরে ফেলেছে।”
দেবীগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, “হাসানুরকে ৬০ গ্রাম গাঁজাসহ রোববার রাতে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে আগের একটি মাদকের মামলা রয়েছে।”
মিলনকে পরিবারের সদস্যরাই পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন এমন তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় দেবীগঞ্জ চৌরঙ্গী মোড়ে স্থানীয় জনতা বিক্ষোভ এবং কয়েক ঘণ্টা দেবীগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। তারা এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।