প্রতিদিন ভাঙছে সাজানো বাড়িঘর

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় প্রতিদিনই মানুষের সাজানো বাড়িঘর, গাছপালা, নতুন নতুন স্থাপনা পদ্মায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

কে এম রায়হান কবীর শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2018, 07:34 AM
Updated : 20 August 2018, 08:23 AM

উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন দেওয়ান বলেন, “এলাকার মানুষের কাছে এখন মূর্তিমান আতংকের নাম এই পদ্মা নদী।

“রোববার রাতেও নড়িয়া-সুরেশ্বর সড়কে মূলফৎগঞ্জ বাজার এলাকায় ভেঙেছে ১৫টি বাড়ি। আকবর দেওয়ান, মতি, মোকলেছ, সোহান, ইমাম হোসেন হাওলাদার, জামাল বেপারী, মজু মিয়া, লোকমান হাওলাদার, আলী হেসেন বেপারী, জসিম বেপারী, মোস্তফা হাওলাদার, নূর মোহাম্মদ বেপারী, হাসেম হাওলাদার, মোবারক হাওলাদার, আয়নাল বেপারীর বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।”

সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, বাসতলা থেকে মূলফৎগঞ্জ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার পাকা সড়ক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ফাটল দেখা দিয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে সুরেশ্বর-নড়িয়া সড়ক যোগাযোগ। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে মুলফৎগঞ্জ বাজার, নড়িয়া বাজার, পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মালপত্র।

ইমাম হোসেন বলেন, এ নিয়ে গত দুই দিনে এ এলাকায় ২৫টি বাড়ি ও একটি মসজিদ নদীগর্ভে চলে গেল। বহু মানুষ কোনো মালপত্রও সরাতে পারেননি। তারা এখন নিঃস্ব।

“পদ্মার তীরে লোকজনের চোখে ঘুম নেই। তারা দিনরাত তাদের সর্বশেষ সম্বল ঘরবাড়ি, দোকান-পাট সরিয়ে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঈদের আনন্দ নেই এ এলাকার মানুষের মনে।”