হবিগঞ্জে বিউটি হত্যা: অভিযোগপত্রে বাবাসহ ৩ জন

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আলোচিত বিউটি হত্যা মামলায় বাবাসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2018, 10:44 AM
Updated : 19 August 2018, 10:57 AM

রোববার দুপুরে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার তথ্য জানান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের ওসি শাহ আলম শনিবার হবিগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

অভিযোগপত্রে বিউটির বাবা সায়েদ আলী, গ্রাম সম্পর্কের চাচা ময়না মিয়া ও ‘ভাড়াটে খুনি’ কামাল মিয়াকে আসামি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ইতোমধ্যে সায়েদ আলী ও ময়না মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ছাড়া বিউটিকে ধর্ষণের অভিযোগ বিষয়ে বাবুল ও তার মা কলমচানের বিরুদ্ধেও আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ মার্চ শায়েস্তাগঞ্জের হাওরে বিউটির লাশ পাওয়া যায়। এসময় তার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায় পুলিশ। পরে এ ঘটনায় ১৮ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মাকে আসামি করে মামলা করেন।

এরপর পুলিশ কলম চানকে ও বাবুলের বন্ধু ইসমাইল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। হত্যকাণ্ড এবং হাওরে বিউটির রক্তাক্ত লাশের ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী আলোচনা শুরু হয়। পরে গত ৩১ মার্চ সিলেট থেকে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বাবুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় নিশ্চিত হলে লাখাই উপজেলার গুনিপুর গ্রামে বিউটির নানির বাড়ি গিয়ে পুলিশ জানতে পারে যে আগের রাতে তাকে তার বাবা সায়েদ আলী ও চাচা ময়না মিয়া নিয়ে যায়।

এরপর পুলিশ ৪ মার্চ ময়না মিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। পরে বিউটির বাবা সায়েদ আলীও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এরআগে গত ২১ জানুয়ারি বিউটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় বাবুল। তাকে বিভিন্ন স্থানে রেখে ধর্ষণ করে এবং প্রায় এক মাস পর বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় বাবুল।

এ ঘটনায় গত ১ মার্চ বাবুল ও তার মা ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কলমচানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন বিউটির বাবা সায়েদ আলী।

পুলিশ সুপার বলেন, “সবার ধারণা বাবুলই হত্যাকারী। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উৎঘাটন করেছে।”