সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাম্মী আকতার জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে পাইকান্দি ইউনিয়নে চাল ওজনে কম দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে বলেন, “বিতরণ করা চাল পরিমাপ করে ২০ কেজির জায়গায় ১৭ কেজি পেয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আর ইউপি সদস্যকে মারধর করার কথা শুনেছেন বলে তিনি জানান।
ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য লাসমত সরদার অভিযোগ করেন, প্রায় দেড় হাজার পরিবারকে ঈদ উপলক্ষে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা।
“সকালে বিতরণ করা চাল দেখে ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে বলে আমার সন্দেহ হয়। আমি এক নারীর চাল মেপে ২০ কেজির জায়গায় ১৩ কেজি দেখতে পাই। প্রত্যেককেই ১৩-১৪ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছিল। আমি ইউএনওকে জানালে চেয়ারম্যানের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করেন।”
তবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান সিকদার চাল কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, লাসমত তার ওয়ার্ডে ১৫০টি কার্ড দাবি করেছিলেন। তাকে ৮০টি কার্ড দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হন। সকালে চাল বিতরণের সময় ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে বলে মিথ্যা অভিযোগ তোলেন তিনি। তারপর এক নারীর চাল মাপতে গেলে ওই নারীর স্বজনরা তাকে চরথাপড় মারেন বলে শুনেছি। আমি কিংবা আমার লোকজন তাকে মারধর করেনি।”