শনিবারই ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, শনিবার সকালে শিমুলিয়া থেকে ছয়টা ডাম্প ফেরি চালু করা হয়েছে। এসব ফেরি ছোট ছোট যান পার করতে পারবে।
সেই সঙ্গে নয়টি কে-টাইপের ছোট মাঝারি ফেরিও চলছে বলে জানিয়েছেন কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন।
তিনি বলেন, “ট্রাকজট আজই স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৫টি ফেরি ঠিকমত চললে ঘাটের পরিস্থিতি আজকের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
তবে বড় ফেরিগুলো কবে নাগাদ চলতে পারবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
এজিএম খালেদ বলেন, আগে যেখানে ঈদের সময় প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার যান পার করা যেত এখন সে নিশ্চয়তা নেই।
“এখন ফেরি চলছে এক মুখে। এক দিক থেকে আসা ফেরি চ্যানেলে থাকলে অন্য দিক থেকে আসা ফেরিকে চ্যানেলের বাইরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে সময় বেশি লাগছে। আর কোনোভাবে যদি দুটি ফেরি চ্যানেলে ঢুকে যায় তাহলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ফেরিগুলোকে চলতে হচ্ছে অতিসতর্কতার সঙ্গে।”
তবে এ নৌপথে ৮৭টি লঞ্চ ও দুই শতাধিক স্পিডবোটে সচল রয়েছে বলে জানিয়েছেন কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন।
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এ নৌপথটি ব্যবহার করে।
শাহ খালেদ বলেন, মাস তিনেক আগে পাহাড়ি ঢলের পানির সঙ্গে আসা পলিতে নৌপথটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ড্রেজিং চলছে, তবু নাব্য সংকট দূর হচ্ছে না। তার ওপর পানি কমে যাওয়ায় সপ্তাহ খানেক আগে নৌপথটিতে ফেরি চলাচল আরও কঠিন হয়ে পড়ে।