শুক্রবার আলিফের বাবা মো. আলমগীর বাদী হয়ে রিপন ওরফে সম্রাট ও অহিদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আলমগীর বলেন, “আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, ফাঁসি চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায় বিচার চাই। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।”
আলিফের মা সালমা বেগম বলেন, “আমার বাচ্চাকে কেন ওরা কষ্ট দিয়ে হত্যা করল? আমার আলিফ। আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদেরকে ফাঁসি দেওয়া হোক। তাদেরকে এখনও কেন খুঁজে বের করা হয়নি?”
এলাকাবাসী শিশু আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় খুনিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, আলিফ হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। অপর একজন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, আলিফের হত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে তার কাপড়চোপড়ের ডিএনএ টেস্ট ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
“আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই হত্যার রহস্য উদঘাটিত হবে। আসামিরা ধরা পড়বে। যাকে আটক করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে অপর একজন সন্দেহভাজনের আসামির পরিচয় আমরা পেয়েছি। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
গত বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর আমহাট্টা জল্লারপাড় এলাকায় বাড়ির পাশে খেলা করার সময় নিখোঁজ হয় আলিফ। এর ছয় ঘণ্টা পর বাড়ির পাশে একটি বাড়ির তালাবন্ধ ছোট ঘর থেকে সৌদি আরব প্রবাসী মো. আলমগীরের ছেলে চার বছরের শিশু শিহাব উদ্দিন আলিফের বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়।