বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল আজহা ও জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আগামী রোববার (১৯ অগাস্ট) থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস, ক্লাস ও পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সকল ক্লাস-পরীক্ষা যথারীতি শুরু হবে।
এছাড়া রোববার থেকে আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল বন্ধ থাকবে বলে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
রোববার সকাল ১০টার মধ্যে আবাসিক হল ত্যাগ করার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে হলসমূহ পুনরায় খুলে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে, হল বন্ধের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন ছুটিতে বাড়িতে যেতে না চাওয়া শিক্ষার্থীরা। মুসলিম ছাড়া ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের অনেককেই বাড়ি যেতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে।
সৈয়দ মুজতবা আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাজমুল করীম বিশ্বাস বলেন, “গত ঈদেও হল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম। এইবারও হল বন্ধ করে দেওয়া হলো।
“যারা আমার মতো বাড়ি যেতে চায় না, তারা থাকবে কোথায়? দূর-দূরান্তের অনেক হিন্দু ধর্মের অনুসারী শিক্ষার্থী আছে, যারা কিছুদিন পর পূজার ছুটিতে বাড়ি যাবে। তারাও এখন বাধ্য হয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে। অথবা বন্ধুদের মেছে থাকতে হচ্ছে। তাই হল বন্ধের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এবং ছাত্রলীগের বিবাদমান গ্রুপগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”