শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত শহরের চৌধুরী বাজার প্রধান ডাকঘর এলাকায় প্রধান সড়কে তারা অবরোধ করেন।
এ সময় সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। পরে সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসনের আশ্বাসের পর তারা অবরোধ তুলে নেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত মুসলধারার বৃষ্টিতে কামারপট্টির রাস্তা-ঘাটে হাঁটু পানি জমে গেছে। অনেক কামারের দোকানে পানি প্রবেশ করেছে।
এতে অতীষ্ঠ ব্যবসায়ীরা শুক্রবার দুপুরে চৌধুরী বাজার প্রধান ডাকঘর এলাকায় প্রধান সড়কে তারা অবরোধ করেন।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলম ও হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন যাবত সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বার বার হবিগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করলেও তারা তাতে কোন কর্ণাপাত করছেন না।
কামারপট্টির ব্যবসায়ী গৌতম দেব বলেন, ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি কামারপট্টির রাস্তার দ্রুত সংস্কার এবং পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
“কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত দাবি জানিয়ে আসলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন। সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কামারপট্টি এলাকার সব দোকানপাঠ বন্ধ থাকবে।”