মাদারীপুরে প্রধান শিক্ষক ‘মারধর করায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা’

মাদারীপুর পৌর এলাকায় চরমুগরিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী ‘প্রধান শিক্ষক মারধর করার পর আত্মহত্যা’ করেছে।

মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2018, 01:45 PM
Updated : 16 August 2018, 01:45 PM

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে সাথী আক্তার (১৫) নামে এই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।

সাথী সদর উপজেলার খোয়াজপুর গ্রামের ইকবাল বেপারীর প্রথম পক্ষের মেয়ে। পেয়ারপুর গ্রামে মামাবাড়ি থেকে ওই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন।

সাথীর মামি মুক্তা বেগম অভিযোগ করেন, “গত শনিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নূর হোসেন হাওলাদার সাথীকে মারধরসহ গালাগাল করে রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে সে কীটনাশক পান করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। আমি ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।”

সাথীর সঙ্গে তার বান্ধবীর ঝগড়া হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক সাথীকে ‘মারধরসহ গালাগাল করে রোদের মধ্যে দাঁড় করে রেখেছিলেন’ বলে তাদের কয়েকজন সহপাঠীও জানিয়েছেন।

তবে প্রধান শিক্ষক সাথীর মৃত্যুর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “সাথী ও আরেক ছাত্রী পরস্পরকে গালাগালি করায় আমি তাদের দুজনকে ডেকে নিয়ে সবার সামনেই শাসন করে ক্লাসে পাঠিয়ে দিই। এটা দুপুরের ঘটনা। এতে যে সে ওষুধ খাবে তা ভাবতে পারিনি। আমি তার চিকিৎসার সব দায়ভার নিয়েছি।”

তবে সাথীর মৃত্যুর পর প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।

এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালনসহ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তাছাড়া তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।

জেলার পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার বলেন, “এ ঘটনায় পুলিশের একাধিক দল এলাকা পরিদর্শন করেছে। আমরা নিহতের পরিবারের জন্য সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

তবে পরিবার এখনও পুলিশে অভিযোগ দেয়নি বলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানিয়েছেন।