বৃহস্পতিবার কলাপাড়া উপজেলার বাবলাতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মহিপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান।
গ্রেপ্তার কাওসার ঘরামী (২৪) কুয়াকাটা সংলগ্ন সেরাজপুর গ্রামের সামশুল হক ঘরামীর ছেলে।
মঙ্গলবার রাতে সেরাজপুর গ্রামের ইউনুস ঘরামী মেয়ে সুরভী আক্তার ইভাকে নিজ ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। পরে কুয়াকাটা হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণ করেন।
মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষ্ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল ইভা।
ওসি মিজানুর বলেনন, ছাগলে গাছ খাওয়া নিয়ে ঝগড়া-ঝাটির জেরেই স্কুলছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে। ঘটনা জড়িত কাওসারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
এ ঘটনায় আরও ৩/৪জন জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ওসি।
অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া ওই ছাত্রীর মা সালমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখনও মহিপুর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ইউনুস ঘরামী বলেন, কিছুদিন আগে কাওসারের ছাগলে তাদের গাছ খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে কাওসারের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শিরিনা বেগমের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ইভা ও তার মায়ের।
“পরে বাড়িতে এসে কাওসার দেখিয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। ভাবি শিরিনের ইন্ধনেই কাওসার তার সহযোগীদের নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।”