ঝিনাইদহে সাংবাদিক পরিচয়ে ‘চাঁদাবাজি’, তরুণ-তরুণী গ্রেপ্তার

সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় নারীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

দুর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এরা হলেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামের জিয়ারত ডাক্তারের ছেলে লিটন মিয়া ও রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি উপজেলার নাড়ুয়া গ্রামের ইসলাম মোল্লার মেয়ে আনোয়ারা পারভিন হ্যাপী।

দুর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক অভিযোগ করেন, এ ‍দুজন গত ২৬ জুলাই তাদের স্কুলে যান এবং কলকাতা টেলিভিশন ও আকাশ টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দেন।

“তারপর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ছবি তোলেন ও খাতাপত্র দেখেন। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৫’শ টাকা চাঁদা নিয়ে চলে যান।” 

এনামুল হক বলেন, “আজ দুপুরে তারা ফের স্কুলে আসেন। তখন জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠান ভালোভাবে পালিত হচ্ছে না বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।”

এ সময় স্কুলে উপস্থিত জনতার সন্দেহ হলে তাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রুমে তাদের আটকের রেখে পুলিশে খবর দেয় এবং হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়, বলেন এনামুল হক।

হরিণাকুন্ডু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদ উজজামান জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বাদী হয়ে থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা করেছেন।

“আটক আনোয়ারা পারভিন হ্যাপী জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশেকে জানিয়েছেন যে তার স্বামীর বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার বড় বোয়ালিয়া গ্রামে। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। এখন ভাটই বাজারে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদাবাজি করেন।”

লিটনের দাবি, তিনি কলকাতা টেলিভিশনের সাংবাদিক। চাঁদাবাজির অভিযোগ স্বীকার করেন বলে পরিদর্শক আসাদ জানান।