গোপালগঞ্জে সেই শিক্ষা কর্মকর্তা বরখাস্ত

বিয়ের প্রলোভনে শিক্ষিকার সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ ওঠা সেই শিক্ষা কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 August 2018, 12:14 PM
Updated : 15 August 2018, 12:14 PM

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-২) নার্গিস সাজেদা সুলতানার ১২ অগাস্ট স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।

গত ৫ জুন থেকে বরখাস্তের এ আদেশটি কার্যকর করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বরখাস্ত মুন্সি রুহুল আসলাম গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

ওই শিক্ষিকার সন্তানের পিতৃত্বে দাবিতে মামলা হওয়ার পর গত ২৭ জুলাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে ২০১০ সালে একই উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মুন্সি রুহুল আসলামের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর রুহুল আসলাম বিয়ের প্রলোভনে ওই শিক্ষিকাকে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন।

পরে ওই শিক্ষিকা বিয়ের জন্য চাপ দিলে রুহুল আসলাম গত ২০১২ সালে মৌলভী ডেকে শরিয়াহ অনুযায়ী তাকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকেন। কিন্তু বিবাহ রেজিস্ট্রি করার কথা বললে শিক্ষা কর্মকর্তা নানা অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

২০১৪ সালে ওই শিক্ষিকার একটি ছেলে হয়। এরপর আসলাম কাশিয়ানী উপজেলা থেকে মুকসুদপুর উপজেলায় বদলি হন। ওই শিক্ষিকাও গোপালগঞ্জ সদরে বদলি হয়ে যান।

এক পর্যায়ে শিক্ষা কর্মকর্তা আসলাম তার সন্তানকে অস্বীকার করলে

শিক্ষিকা তার সন্তানের পিতৃত্বের দাবি নিয়ে আসলামের বিরুদ্ধে এ বছরের (২০১৮ সাল) ৯ এপ্রিল গোপালগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ থানার এসআই বকুল আহমেদ বলেন, পরে শিক্ষিকা আদালতে ডিএনএ টেস্টের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।

“আদালতের নির্দেশে গত ১২ জুলাই মুন্সি রুহুল আসলাম, ওই শিক্ষিকা ও তাদের ছেলে মুন্সি আবরার রুহিতকে পুলিশ হেফাজতে ঢাকা নিয়ে গত ১৩ জুলাই ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।”

গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ ভূইয়া বলেন, “ওই শিক্ষা কর্মকর্তার সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে।”