সাত দফা দাবিতে পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তালা

দুই বিষয়ে অকৃতকার্যদের পরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ ও মানোন্নয়ন পরীক্ষার বর্ধিত ফি বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2018, 03:57 PM
Updated : 14 August 2018, 03:57 PM

মঙ্গলবার দুপুর থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এবং একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও ভাইস চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এ সময় উপাচার্যসহ শিক্ষকরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।পরে রাত ৮টার দিকে উপাচার্যের আশ্বাসে তারা তালা খুলে দেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, নির্ধারিত জিপিএ না পাওয়া ও দুই বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ না করা এবং মানোন্নয়ন পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়। এ নিয়ম বাতিলসহ ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির মানোন্নয়ন সংখ্যা ৪ বছরে ৪ থেকে ১৬, একাডেমিক কোর্সের সময় ৬ বছর থেকে ৭ বছর এবং ইমপ্রুভ বা ব্যাকলগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বি গ্রেড থেকে বাড়িয়ে এ প্লাস চালু করার দাবিতে গত মাসে প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপি দেওয়ার পর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলে গত জুলাইয়ে আন্দোলন শুরু করলে উপাচার্য একটি কমিটি গঠন করে দেন। সেই কমিটিও গত ১৫ দিনে কোনো কাজ না করায় আবার আন্দোলন শুরু করেছেন বলে জানায় তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি আওয়াল কবির জয় বলেন, বিষয়টি দ্রুত সুরহা করার জন্য ডিন কমিটি কাজ করছেন, খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও কমিটির প্রধান খাইরুল আলম বলেন, কমিটি ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নিয়ম নীতি পর্যালোচনা করছেন। খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া নিয়ে আমাদের কমিটি কাজ করছে। একটু সময় তো লাগবে। তবে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতি দেখে শিক্ষার্থীদের জন্যে সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন করা হবে।”