সোমবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পটুয়াখালীর ইটাবাড়িয়া গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, ১৭ জনকে হত্যা এবং অন্তত ১৫ নারীকে ধর্ষণের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে।
পাঁচ আসামি হলেন- ইসহাক সিকদার, আব্দুল গণি হাওলাদার, আব্দুল আওয়াল ওরফে মৌলভী আওয়াল, আব্দুস সাত্তার প্যাদা ও সোলায়মান মৃধা।
রায় ঘোষণার খবর এলাকায় পৌঁছলে তাৎক্ষণিকভাবে পটুয়াখালী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
এছাড়া রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন ওই সময় নির্যাতিতা বীরাঙ্গনারা।
রাজাকারের হাতে নির্যাতিতা বীরাঙ্গনা রিজিয়া পারভিন ও মনোয়ারা বেগম ট্রাইবুন্যালের দেওয়া রায়ে তারা ন্যায় বিচার পেয়েছেন বলে জানান।
এখন সরকারের কাছে ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।
দেরিতে হলেও অপরাধীদের বিচার হওয়ায় আনন্দিত তাদের পরিবারের সদস্যরা।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে পাঁচ জনের শাস্তি দ্রুত কার্যকর করার পাশাপাশি ইটবাড়িয়াসহ অন্য এলাকার নির্যাতিতা বীরঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।
তাদের হাতে নির্যাতের শিকার ইটবাড়িয়া এলাকায় এখনও ৮ জন বীরাঙ্গনা জীবিত আছেন।
২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল এই ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পরে ওই বছরের ১ অক্টোবর পাঁচ জনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। গত বছরের ৮ মার্চ এ মামলার অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরু করে ট্রাইবুন্যাল।