শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান।
কবে নাগাদ ড্রেজিং শেষ করে ফেরি সার্ভিস সচল হবে তা বলা যাচ্ছে না বলে বিআইডব্লিউটিসি জানিয়েছে।
তবে বিআইডব্লিউটিএ দাবি করছে ভাটার কারণে চ্যানেলে পানি কমে গেছে জোয়ার শুরু হলেই আবার পারাপার শুরু করা যাবে।
আসন্ন ঈদুল আজহার আগে ফেরি পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘরমুখো মানুষ দুর্ভোগে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা খালেদ নেওয়াজ বলেন, ফেরি চলাচলের চ্যানেলে ৭ থেকে ৮ ফুট পানি থাকতে হয়। সেখানে পানি রয়েছে মাত্র ৫ ফুট।
“বিআইডব্লিউটিএ এই চ্যানেলে ড্রেজিং করছিল। তারপরও নাব্যতা সংকট থেকে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ করতে হয়েছে।”
পারাপারের জন্য আসা গাড়িগুলোকে বিকল্প পথে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিসির এ কর্মকর্তা বলেন, নাব্যতা সংকটের কারণে শনিবার দুপুরের দিকে ফেরি সার্ভিস সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। তারপর বিকালে ড্রেজিংয়ের পর আবার চালু করা হলেও ডুবোচরের ওই অংশ ফেরি পারি দিতে পারেনি।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী (ডেজিং) এএসএম আরিফিন বলেন, “আমি ড্রেজিং চ্যানেলের মুখেই আছি। নদীতে ভাটা থাকায় পানির কমে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে। জোয়ার এলেই তা ঠিক হয়ে যাবে।”
নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ড্রেজিংয়ের পরপরই আবার পলি পড়ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বিকল্প কোনো পথ বের করা যায় কি না আমরা সবাই সেটাই পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছি।”
এদিকে ফেরি পারাপার বন্ধ করে দেওয়ায় ঘাটে আটকা পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাকসহ পাঁচ শতাধিক যান।
মাওয়া ট্রাফিকের টিআই সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘাট স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বিকালে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া পর যানজট দেখা দিয়েছে।