বৃহস্পতিবার ভোরে বীরগঞ্জ উপজেলার শালবাগান ও হাটতলা মোড়ে এই দুই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান।
নিহত নৈশ প্রহরী সুরুজ আলী (৫০) বীরগঞ্জ পৌরসভার জেলখানা মোড় এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। আর জনতার হাতে নিহত রবিউল ইসলাম (৩২) একই এলাকার তারা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ বলছে, নৈশপ্রহরী সুরুজ আলী ভোরে শালবাগান মোড়ে দায়িত্ব পালনের সময় তাকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়। এর পরপরই হাটখোলা মোড়ে দায়িত্বরত নৈশপ্রহরী শহীদ (৪০) ‘দুর্বৃত্তের’ ছুরিকাঘাতে আহত হন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং সকাল ৬টার দিকে দিনাজপুর-রংপুর-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এর মধ্যে জেলখানা মোড় এলাকায় রবিউলের বাড়িতে রক্তমাখা জামা-কাপড় পাওয়া গেলে তাকে খুঁজতে শুরু করে জনতা।
স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘণ্টা দুই পর তেরমাইল গড়েয়া এলাকায় রবিউলকে পাওয়া গেলে তাকে ধরে শালবাগান এলাকায় এনে পেটানো হয়। পরে গায়ে আগুন দিয়ে তাকে পুড়িয়ে হত্যা করে জনতা।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সুপার হামিদুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশের হস্তক্ষেপে বেলা ১০টার দিকে দিনাজপুর-রংপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হলেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক জানান।
পুলিশ সুপার হামিদুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিক তথ্যে মনে হয়েছে, রবিউল একাই ওই হত্যায় জড়িত। এলাকাবাসী বিষয়টি জানার পর তাকে ধরে এনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তবে স্থানীয়রা বলেছে, রবিউল খানিকটা পাগল প্রকৃতির। আমরা সব কিছু খতিয়ে দেখছি।”